promotion

সহজে মোবাইল দিয়ে যেভাবে টাকা আয় করবেন

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার বেশ কিছু উপায় আছে। তবে এ জন্য আপনার স্মার্ট মুঠোফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আসুন জেনে নেই বেশ কিছু পদ্ধতি।

ইউটিউব ভিডিও তৈরি:

আপনার কাছে ভালো স্মার্টফোন থাকলে সেটি দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে তা এডিট করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে সেখানে গুগল এডসেন্স যুক্ত করে আয় করতে পারেন। তবে এ জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি টপিক নির্বাচন করে ভিডিও তৈরি করতে হবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত করতে মনিটাইজেশন পেতে হবে। এ জন্য আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে গত ছয় মাসে অন্তন্ত ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। এছাড়া আপনার ভিডিওতে বেশি ভিউ থাকলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

আর্টিকেল রাইটিং:

বর্তমানে অনলাইনে লেখার চাহিদ অনেক বেশি। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আর এ লেখালেখির কাজটি আপনি আপনার স্মার্ট ফোনেই করতে পারেন। যেমন; রোর মিডিয়া প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য ভালো পরিমাণ পেমেন্ট করে। এছাড়া স্থায়ীভাবেও সেখানে আর্টিলেক লেখার সুযোগ রয়েছে।

একইসঙ্গে আরো অনেক নিউজসাইটও রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য পেমেন্ট করে। আপনি বিভিন্ন বিদেশি সাইট থেকে ধারণা নিয়ে কিংবা অনুবাদ করে মোবাইলেই আর্টিকেল লিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং:

আপনি স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে আয় করতে পারেন। অনলাইনে কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি মোবাইলেই করতে পারবেন। যেমন;

  • ট্রান্সলেশনের কাজ
  • কপি রাইটিং করা
  • ফোরাম পোস্টিং এর কাজ
  • প্রুফ রিডিং করা
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
  • ট্রান্সক্রিপশন জব

ছবি ও ভিডিও বিক্রি:

আপনার কাছে ভালো মানের একটি স্মার্ট ফোন থাকলে আপনি ছবি তুলে এবং ভিডিও করে তা বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। ছবি ও ভিডিও বিক্রির জন্য বর্তমানে অনেক মাধ্যম রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে; শাটারস্টক,  ফোপ, স্ন্যাপওয়্যার, ড্রিমসটাইম।

অনলাইন টিউশন:

বর্তমানে অনলাইনে পড়াশোনা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশে টেন মিনিট স্কুল এর দৃষ্টান্ত। এছাড়া অনেকই বিভিন্ন বিষয়ে টিউশন দিচ্ছেন অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে। আপনার হাতে যদি ভালো ভিডিও কলের স্মার্ট ফোন থাকে এবং কোনো বিষয়ে আপনার বেশ দক্ষতা থাকে তাহলে একটু প্রচারণা চালিয়ে অনলাইনেই টিউশনি শুরু করতে পারেন।

এছাড়া টিউশানের পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স তৈরি করতে পারেন। এর কপি বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন।

সামাজিক মাধ্যমে ই-কমার্স:

আপনার কাছে থাকা মোবাইলটিই হতে পারে আপনার ই-কমার্স প্লাটফর্ম। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম বা টুইটার ব্যবহার করে আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারেন। সামাজিক মাধ্যমে ইউজারদের কাছে আপনার পণ্যের প্রচার চালান। তারাই আপনার ক্রেতা। আপনি একটি পেজ খুলে ভালো আয় করতে পারেন।

ফেসবুকে ভিডিও মনিটাইজেশন:

আপনার কাছে ভালো স্মার্টফোন থাকলে সেটি দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে তা এডিট করে আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড করে পেজ মনেটাইজ করে আয় করতে পারেন। এ পদ্ধতি অনেকটা ইউটিউব থেকে আয়ের মতো। তবে এখানে মনেটাইজ পেতে প্রয়োজন;

  • পেজে অন্তত দশ হাজার ফলোয়ার
  • অন্তত পাঁচটি ভিডিও
  • দুমাসে অন্তত ছয় লাখ মিনিট ওয়াচ টাইম

এছাড়া ইউটিউবের জন্য তৈরি কনটেন্ট এখানেও আপলোড করতে পারেন। কোনো ভিডিও একবার ভাইরাল হয়ে গেলে আর চিন্তা নেই। তবে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে ফেসবুক ও ইউটিউবের নীতির পরিপন্থী হয়। ভাইরাল করতে গিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী কিছু করা যাবে না।



ডেলিভারি সার্ভিস:

আপনার হাতে স্মার্ট ফোন থাকলে একটি কম দামী সাইকেল নিয়ে নেমে পড়ুন ডেলিভারি সার্ভিসের কাজে। বর্তমানে অনেক অনলাইন মার্কেট প্লেস ফুলটাইম ও পার্ট টাইম ডেলিভারি সার্ভিসের কাজে লোক নিয়োগ করে থাকে।

এছাড়া ফুডপান্ডাসহ বিভিন্ন ডেলিভারি সার্ভিসে যুক্ত হয়ে নিজের পছন্দের সময়ে ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে আয় করুন। এছাড়া বিভিন্ন কোরিয়ার সার্ভিসের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারেন।

আরো পড়ুন: ফেসবুক থেকে আয় করুন ৯ উপায়ে

রাইড শেয়ারিং:

আপনার কাছে যদি মোটসরসাইকেল ও একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে আপনি রাইড শেয়ারিং আপনার আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে দেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো ব্যপক সাড়া ফেলেছে।

উবারের মতো জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে যুক্ত হয়ে পার্ট বা টাইম রাইড দিতে পারেন। এটি আপনার বাড়তি আয় হয়ে পারে।



মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা:

আপনার স্মার্ট ফোনে এস ম্যানেজার বা তাদেরই প্রতিষ্ঠান বন্ধু অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কোনো মোবাইলে রিচার্জ দিয়ে ভালো আয় করতে পারেন। এ জন্য আপনার একটি স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটই যথেষ্ট। বন্ধু অ্যাপ বর্তমানে কোনো সার্ভিস চার্জ নেয় না, শুধুমাত্র প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে ২০-৩০ পয়সা কমিশন নেয়। আর কমিশন থাকে প্রতি ১০০ টাকায় অন্তত ২ টাকা। এছাড়া এস ম্যানেজারে বাড়তি সুবিধা থাকায় বিভিন্ন প্যাকেজে তাদের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয়। যা সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা।  

অ্যাপ দুটোতে বাড়তি ঝামেলা না থাকায়, দোকান কিংবা রাস্তার মোড়ে বসেই এক মোবাইল দিয়ে রিচার্জ ব্যবসা করতে পারেন। অ্যাপে যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং বা ডেভিট-ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা লোড নেওয়া যায়। এছাড়া টাকা উত্তোলনও করা যায় নিমিশেই। তাই এটি হতে পারে আপনার আয়ের সহজ পথ।

আরো পড়ুন: 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Advertise

Advertise
Attar - Chocolate Fragrance Perfume | Daraz | Buy Now

promotional

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অনলাইনে ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করুন, সেরা ১০টি জব সাইট

নার্সারি ব্যবসার আদ্যোপান্ত, ঝুঁকি কম লাভ বেশি

অনলাইনে অডিও শুনে টাকা আয় করুন, যেভাবে হবেন ট্রান্সক্রিপশনবিদ

Promotional