রাইড শেয়ারিং করে সহজে আয় করুন
রাইড শেয়ারিং:
সহজ কথায় রাইড
শেয়ারিং হলো চলার পথে আপনার খালি গাড়িতে কাউকে নিয়ে গেলেন, এতে তারও সুবিধা হলো
আপনিও কিছু টাকা পেলেন। এমন ধারণা থেকেই রাইড
শেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানি অ্যাপের মাধ্যমে এ
প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।
এখানে স্মার্টফোনে নির্দিষ্ট রাইড
শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে হায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় এবং
ওই পথে যাতায়াতকারী রাইডার ওই রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে রাইড শেয়ারিং প্রক্রিয়া
শুরু হয়। এতে প্রক্রিয়াটি পরিচালনা
করে স্টার্টআপ কোম্পানি রাইডার থেকে কমিশন নেয়। রাইডার সরাসরি যাত্রী থেকে ভাড়া
গ্রহণ করে। বর্তমানে ডিজিটাল ব্যাংকিং মাধ্যমেও যাত্রী ভাড়া পরিশোধ করে। এ
ক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পেমেন্ট নিয়ে রাইডারকে পরিশোধ করে দেয়।
ভাড়ায় চালিত
গাড়ির সঙ্গে এ প্রক্রিয়ার ধারণা অনেকটা মিল থাকলেও রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোতে
একমাত্র পার্থক্য হলো এখানে দামাদামির কিছু নেই।
রাইড শেয়ারিং যেভাবে কাজ করে:
- রাইড শেয়ারিং অ্যাপে কাস্টমার নিকটস্থ রাইডারকে রিকোয়েস্ট পাঠায়।
- রাইড শেয়ারিং অ্যাপ সেই রিকোয়েস্ট আশপাশের রাইডারের কাছে পৌঁছে দেয়
- যে কোনো রাইডার রিকোয়েস্টটি গ্রহণ করলে যাত্রীকে তার লোকেশন থেকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
- গন্তব্যে পৌঁছে গেলে যাত্রী ক্যাশ অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পেমেন্ট করেন।
- ফোনের গুগল জিপিএস সার্ভিসের উপর নির্ভর করে অ্যাপগুলোর সেবা লোকেশন ভিত্তিক পরিচালনা করা হয়।
- রাইড শেয়ারিং প্রক্রিয়াটি তিনটি মাধ্যমে পরিচালিত হয়; প্রথমে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানি। যারা রাইডার ও যাত্রীর জন্য অ্যাপ সেবা প্ল্যাটফর্মটি বানিয়েছে।
বাংলাদেশে বেশ কিছু রাইড শেয়ারিং সার্ভিস:
- পাঠাও (Pathao)
- উবার (Uber)
- ওভাই (Obhai)
- এছাড়াও রয়েছে; চলো, আমার বাইক, যাবো, পিক মি।
পাঠাও (Pathao):
পাঠাও (Pathao)
বাংলাদেশে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে সেবা দিয়ে তারা।। সারাদেশে ৮০ লাখের বেশি গ্রাহক ও তিন
লাখের অধিক রাইডার রয়েছে এ সেবায়। রাইড শেয়ারিং ছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিস, ফুড
ডেলিভারি, ই-কমার্স সার্ভিসসহ অসংখ্য সেবা দিয়ে থাকে পাঠাও। এখানে রাইডার হিসেবে
কাজ করতে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হয়। এছাড়া সরাসরি অফিসে গিয়েও আবেদন করা
যায়। তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানা যাবে।
উবার (Uber):
উবার (Uber)
হলো দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক রাইড শেয়ারিং সেবা। ২০১৬
সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে উবার। বর্তমানে চট্টগ্রাম, ঢাকা, কক্সবাজার ও সিলেটে
সেবা দিচ্ছে উবার। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মটোরসাইকেল এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা
এখানে যুক্ত রয়েছে। রাইডার হিসেবে কাজ করতে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
ওভাই (Obhai):
ওভাই (Obhai)
দেশে জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস।
তাদের সেবা বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, কুমিল্লা ও কক্সবাজারে পাওয়া
যাচ্ছে। অন্যান্যদের মতো প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মটোরবাইক ও সিএনজি রাইড
শেয়ারিং সার্ভিস দিচ্ছে ওভাই। সিএনজি রাইড শেয়ারিং ধারণাটি তারাই প্রথম চালু
করে। রাইডার হিসেবে কাজ করতে তাদের ওয়েবসাইট বা অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
রাইডার হিসেবে যুক্ত হতে যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন:
- প্রথমে
অনলাইনে ড্রাইভার হিসেবে যুক্ত হতে আবেদন করতে হবে একাউন্ট রেজিস্টার।
- পরিবহন (প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মটোরবাইক ও সিএনজি)।
- স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট
- ছবি ও অন্যান্য যথাযথ তথ্য।
রাইড শেয়ারিং করে আয়:
রাইড শেয়ারিং
প্ল্যাটফর্মে যথাযথ তথ্য দিয়ে ড্রাইভার হিসেবে অ্যাকাউন্ট চালুর পর মাঠে নেমে
পড়ুন। এর আগে প্ল্যাটফর্ম থেকেই আপনাকে অন হাউজ একটি ট্রেনিং দেবে। রাইড শেয়ারিং করার
পর পাওয়া ভাড়া থেকে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হিসেবে প্ল্যাটফর্ম গ্রহণ
করে। বাকি টাকা রাইডার পায়। এই কমিশন প্ল্যাটফর্ম বেদে ভিন্ন হয়।
আরো পড়ুন:






মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন