promotion

অনলাইনে আয় করার সেরা ৭ উপায়

বর্তমানে ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে আছেন এমন কাউকে পাওয়া কঠিন। ইন্টারনেটের এমন সহজলভ্যতা অনলাইনে আয়ের পথ সুগম করে দিয়েছে। তবে অনলাইন থেকে কীভাবে আয় করা যায় সে পথ খুঁজে পান না অধিকাংশ মানুষ। এছাড়া দক্ষতা থাকার পরও সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেননা। আসুন জেনে নেই অনলাইন থেকে আয় করার ৭টি সেরা উপায়।

ফ্রিল্যান্সিং:

অনলাইন থেকে আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। এখানে স্বাধীনভাবে কাজ, সময় ও আয়ের কোনো সীমা না থাকায় বিশ্বে জব মার্কেটে এটি অনন্য। অনলাইন মার্কেট প্লেস- ফাইভার, আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন বিশ্বের কোটি মানুষ। অন্যান্য যেকোন চাকরির তুলনায় স্বাধীনভাবে কাজ ও সীমাহীন আয়ের ফলে এ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো রয়েছে জনপ্রিয়তার এক নম্বরে।

এতে ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের বায়ারের কাজ করা যায়। এছাড়া এখানে আপনার সকল দক্ষতার জন্যই কাজ পাবেন। যেমন ধরুন, আপনি ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক ডিজাইন এ দুটো কাজেই দক্ষ। এখানে আপনি দুধরনের কাজ করে আলাদা আলাদা আয় করতে পারবেন।

ইউটিউবিং:

অনলাইনে আয়ের আরেকটি শীর্ষ পদ্ধতি ইউটিউবিং। ভালো ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির দক্ষতা থাকলে এটি আপনার জন্য আশির্বাদ।

ইউটিউব থেকে আয় করতে প্রথমত আপনার চ্যানেলে ভালো মানের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। পরে এতে অন্তত এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম হলে চ্যানেলটি মনেটাইজের আবেদন করতে হবে।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার চ্যানেল মনেটাইজ করে দিলে এখানে গুগলের প্রচারিত বিজ্ঞাপন থেক আপনি পেমেন্ট পাবেন। এছাড়াও আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রোমোশন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন।

ই-কমার্স:

ইন্টারনেট মাধ্যমে ব্যবসাই হলো ই-কমার্স। বর্তমান সময়ে ডিজিটালাইজেসনের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্সের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে ই-কমার্স এর মাধ্যমে ব্যবসা করে আপনি অনেক বেশি আয় করতে পারেন। কেননা তখন সারা দেশ জুড়ে আপনার পণ্যের ক্রেতা থাকবে। আপনি ক্রেতাদের বিশ্বস্ততা পেলে আর পেছনে ফিরে তাকেতে হবে না।

বর্তমানে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ ক্রেতাই অনলাইনেই তাদের পছন্দের পণ্য খুঁজেন এবং কেনাকটা করেন। তাই এটি হতে পারে আপনার আয়ের বড় প্লাটফর্ম। নিজের ব্যবসার নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে নেবেন। পরে একটি ফেসবুক বা টুইটারে (+অন্যান্য প্রচার মাধ্য) পেজ খুলে প্রচারণা চালাবেন। 

এতে ই-কমার্সের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি পাবে সঙ্গে আয় বাড়বে কয়েকগুণ। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স প্লাটফর্মে সেলার হিসেবে যুক্ত হয়ে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করে আয় করতে পারেন।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট:

আপনি যদি ওয়েব ডেভলপমেন্টের কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে দেশে ও দেশের বাইরে অনেক জব আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। অনেক কোম্পানি ওয়েব ডেভলপারদের চুক্তিভিত্তিক বিশাল অঙ্কের পেমেন্টে নিয়োগ দিয়ে থাকে। যেখানে বাসায় বসে অইনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানিতে কাজ করা যায়। এ ধরণের জব পেতে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম লিংকড ইন। এতে প্রোফাইল খুলে জব পোস্টে আবেদন করে রিমোট (বিশের যে কোনো প্রান্ত থেকে) ও অনসাইট (অফিসে) জব পেতে পারেন।

এছাড়া আপনি যদি ওয়েব ডেভলপমেন্টে বেশ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই বিভিন্ন ওয়েব রিলেটেড প্লাগইন বা টোলস তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। যেমন; ওয়ার্ডপ্রেসে জন্য থিম বা প্লাগিন। ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) ওয়েবসাইটের এসইও টোলস।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

আরেকজনের পণ্য প্রচার করে বিক্রিতে সহায়তার প্রক্রিয়াকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার ওয়েবসাইট বা সামাজিক মাধ্যমে অন্যের পণ্য রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে প্রচার করে তা বিক্রি হলে ওই কোম্পানি থেকে আপনি কমিশন পাবেন। এটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সহজ ধারণা।

বর্তমানে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া আপনি দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলো ঘুরে দেখবেন তাদের সাইটে অ্যাফিলিয়েট নামে কোনো আপশন আছে কি না।

ফটোগ্রাফি করে অনলাইনে আয়:

শখের ফটোগ্রাফি করেও অনলাইনে আয় করতে পারেন। ফটোগ্রাফি করে অনলাইনে আয়ের একাধিক পথ রয়েছে। স্টক ফটোগ্রাফি করে ইউনিক ছবি বিভিন্ন স্টক ফটোগ্রাফির ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে আয় করা সম্ভব। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আয় করতে পারেন।

একই সঙ্গে ফটোগ্রাফি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিয়েও আয় করতে পারেন। এছাড়া  দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বা ম্যাগাজিনে ফ্রিল্যান্সিং ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতে পারেন।


ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অনলাইনে আয়:

বর্তমান বিশ্বে ডিজিটালাইজেশনের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা আকাশছোঁয়া। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি ডিজিটাল মাধ্যমে (সামাজিক মাধ্যম, ওয়েবসাইট, মাইক্রো ব্লগিং সাইট) বিভিন্ন পণ্য বা সেবার রিভিউ বা কনটেন্ট লিখে প্রচার চালাতে পারেন। এ জন্য বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর প্রোফাইলে প্রবেশ করে ডিজিটাল মার্কেটার এর জব খুঁজতে হবে। দেশে ও বিদেশে অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে যারা চুক্তিভিত্তিক বা স্থায়ীভাবে ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দেয়। অনলাইনে আপনি একসঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল মার্কেটার হিসেব কাজ করার সুযোগ পাবেন।

এ জন্য আপনাকে আগে নিজের দক্ষতা ঝালাই করে নিতে হবে। আপনার দক্ষতার ডেমু অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে জানান দিন। কাজই আপনাকে খুঁজে নেবে।

  আরো পড়ুন: 

মন্তব্যসমূহ

Advertise

Advertise
Attar - Chocolate Fragrance Perfume | Daraz | Buy Now

promotional

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অনলাইনে ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করুন, সেরা ১০টি জব সাইট

নার্সারি ব্যবসার আদ্যোপান্ত, ঝুঁকি কম লাভ বেশি

অনলাইনে অডিও শুনে টাকা আয় করুন, যেভাবে হবেন ট্রান্সক্রিপশনবিদ

Promotional