নতুন ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড পাওয়ার পর অবশ্যই যা করবেন
ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড পাওয়ার পর যা করবেন:
কার্ড এক্টিভ করুন:
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড
পাওয়ার পর সেটি এক্টিভ (চালু) করুন। কার্ডটি আপনি হাতে পেলে এতে থাকা হেল্পলাইন
(কার্ড ডিভিশন) নম্বরে কল করুন। সেখানে আপনার কার্ডের নম্বরটি বলতে হবে পরে কিছু
প্রশ্ন করে আপনাকে ভেরিফাই করবে। এরপর তারা কলটি আইভিআরে ট্রান্সফার করে দেবে।
সেখানে আপনাকে পাসওয়ার্ড সেট করতে বলবে। চার বা পাঁচ সংখ্যার পাসওয়ার্ড টাইপ করলে
তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভ হয়ে যাবে। এরপর কার্ডটি চালু হয়ে যাবে।
অস্থায়ী পাসওয়ার্ড:
অনেক ব্যাংক থেকে গোপন
খামে অস্থায়ী পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকে। কার্ড ডিভিশনে ফোন করে কার্ড চালুর পর ওই
ব্যাংকের নিকটস্ত এটিএম বুথ থেকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হয়। এটা তেমন জটিল নয়।
বুথে এটিএমে কার্ড প্রবেশ করিয়ে অস্থায়ী পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন অপশন থেকে পরিবর্তন করা যায়। এই পিন নাম্বারটি গোপনীয়, এটি
কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
ব্যালেন্স বা লিমিট চেক:
ক্রেডিট কার্ডের
লিমিট আর ডেবিট কার্ডের ব্যালেন্স চেক করে রাখবেন। তাহলে কোনো কেনাকাটা করার সময়
পেমেন্ট করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হতে হবে না। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের লিমিট শেষ হয়ে
গেলে তা পরিশোধ করার আগ পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন না। আর ডেবিট কার্ডের ব্যালেন্স
শেষ হয়ে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা জমা করতে হবে। ব্যালেন্স বা লিমিট
দেখার পর কোনো অসঙ্গতি মনে হলে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন।
পাসপোর্ট এন্ডোর্স:
আপনি যদি
দেশের বাইরে যেতে চান তাহলে আপনাকে ক্রেডিট
কার্ডে ডুয়েল কারেন্সি করিয়ে নিতে হবে। পরে আপনার পাসপোর্টএ ডলার এন্ডোর্স করতে
হবে। ডলার এন্ডোর্স করতে কোনো টাকা লাগে না। এটা হলো আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের
অধীনে পাসপোর্টে ডলারের পরিমাণ এন্ট্রি করে দেবে। এর মানে আপনি ওই পরিমাণ ডলার খরচ
করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ড
ছাড়াও অনেক ব্যাংক ভিসা ডেভিট কার্ডে মাল্টি কারেন্সি সুবিধা দিয়ে থাকে। এটা ওই
ব্যাংকে আপনার লেনদেনের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক প্রদান করে। আপনি যদি দেশের বাইরে
না যান কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সাইট থেকে কেনাকাটা না করেন তাহলে আপনার কার্ডে
ডুয়েল কারেন্সি সুবিধা যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। তখন আর পাসপোর্ট এন্ডোর্স করতে হবে
না।
অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণ:
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড
নেয়ার সময় ব্যাংক থেকে যেসব তথ্য দেবে তা নিজের কাছে নিরাপদে সংরক্ষণ করবেন। আপনার
কার্ড হারিয়ে গেলে, কিংবা রিপ্লেসমেন্ট এর জন্য প্রাথমিক ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন
হতে পারে।
কার্ডের অফারগুলো জানুন:
বিভিন্ন ব্যাংক ডেবিট
বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোনো বিল পেমেন্ট করলে তারা বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফার
দেয়। এছাড়া অনেক ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রানজেকশন
করলে কার্ডের বার্ষিক ফি ফ্রি করে দেয়। এ বিষয়ে জেনে নিন। কার্ডের হেল্পলাইনে
যোগাযোগ কিংবা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই তথ্যগুলো থাকে।
কার্ডের গোপনীয়তা:
আপনার কার্ডের পিন ও কার্ডের পেছনে তিন সংখ্যার সিকিউরিটি নম্বর (সিভিসি নম্বর) কাউকে দেবেন না। এছাড়া কার্ড নম্বর, মালিকের নাম, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ কাউকে বলবেন না।অনলাইনে একাউন্ট পরিচালনা:
বর্তমানে
ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপে কার্ড নম্বর কিংবা অ্যাকাউন্ট নম্বর যুক্ত করে অনলাইনে ব্যালেন্স, ট্রানজেকশন ও স্টেটমেন্ট দেখার সুযোগ রয়েছে। এতে
রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। এর ফলে আপনি যেকোনো সময় আপনার কার্ডের স্ট্যাটাস
দেখতে পারবেন।
কেনাকাটায় POS মেশিনে পেমেন্টে সতর্কতা:
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড
দিয়ে কেনাকাটা করার পর পেমেন্ট দেওয়ার সময় সতর্কতা
অবলম্বন করবেন। বেনামী কোনো
প্রতিষ্ঠানে কার্ড দিয়ে পেমেন্ট না করা ভালো। এ ক্ষত্রে আপনি পিন টাইপ করার সময়
এমন ভাবে দিবেন যেন অন্য কেউ না দেখে। এছাড়া POS
মেশিনে আগে বিলের পরিমাণ দেখে তারপর পিন নম্বর টাইপ করবেন। পিন নিজে টাইপ করবেন। বিল
পেমেন্ট শেষে আপনার রশিদ নিয়ে নেবেন। তাহলে পরবর্তীদের বিল নিয়ে কোনো ক্লেইম থাকলে
এ রশিদ কাজে আসবে।
আরো পড়ুন:






মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন